বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভবিষ্যৎ - ফাহাম আব্দুস সালাম
August 29, 2024 by Shahriar Ahmed Shovon
গত ২৪ তারিখ আদর্শের একটা আলোচনা অনুষ্ঠান চলছিল বাংলা একাডেমিতে। সেখানে ফাহাম আব্দুস সালামের আলোচনার পর্যালোচনাঃ
পুরো পর্যালোনা আমরা তিন ভাগে দেখবো। প্রথম থাকবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব, পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়তে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বর্তমান অবস্থা এবং শেষভাগে তার ভবিষ্যৎ।
আমাদের সবার একটা পরিচয় আছে। কেউ আমরা মুসলমান, কেউ হিন্দু, কেউ ধরে নেন নিজের পরিচয় দিচ্ছে তার সন্তানের পিতা হিসেবে। পার্সোনাল প্রেফারেন্স। কিন্তু যখন আমরা অন্যের সঙ্গে কানেক্ট হতে যাই তখন একটা অজুহাতের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ দুটো ভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি তৈরির সময় একটা ব্রিজ বা একটা কমন স্ফেয়ার প্রয়োজন হয়। এখন একজন মুসলমান এবং হিন্দু ধর্মের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে বা সম্প্রীতির জন্য একটা কমন পরিচয় প্রয়োজন। এই কমন পরিচয়ের প্রয়োজন অনুভব করেন সর্বপ্রথম সদ্য স্বাধীন হওয়া পাকিস্তানের পুর্ব পাকিস্তান অঞ্চলের শিক্ষিত গোষ্ঠী। তবে তাদের কমন পরিচয় কি হবে সেটাও তারা ঠিক করেছেন সেই সময়েই, একটা সেক্যুলার পরিচয়। অর্থাৎ ধর্মকে দূরে সরিয়ে এরপরেই কেবল এই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে সংযোগ হতে পারে।
আর এই সেক্যুলার পরিচয়ের নাম হয়েছে বাঙালি। তাহলে কথা দাঁড়ায় যে একজন হিন্দু এবং একজন মুসলমান শুধুমাত্র “সত্যিকারের” সম্প্রীতি তখনই অর্জন করতে পারবে যখন তারা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় ছেড়ে কমন গ্রাউন্ড যেটা এখানে “বাঙালি” পরিচয় সেটাকে ধারণ করবে। একজন মুসলমান এবং একজন হিন্দুর মধ্যে ইনবিল্ট যে সম্প্রীতির প্রবণতা আছে সেটাকে গ্রাহ্য না করে এই সেক্যুলার স্ফেয়ার তৈরির কারণ বা এলিমেন্ট অনেক আছে। তার মধ্যে দুইটা এরকমঃ
সেক্যুলার স্ফেয়ার তৈরির দুইটা কারণঃ
১। ষোলর দশকে বাংলার শিক্ষিত জনসমাজ সর্বদা নিজেকে উর্দু ভাষার মানুষের থেকে নিজেকে আলাদা প্রমান করতে ব্যস্ত থাকতো। উর্দু ভাষার মানুষের সঙ্গে যখন দেখে তার মুসলমান পরিচয় এলাইন করে যায় তখন সেই আলাদা সত্তা হুমকির মুখে পড়ে। আর তখনই তার নতুন পরিচয়ের প্রয়োজন হয়ে ওঠে। কারণ পাকিস্তান যখন সৃষ্টি হলো তখন কলকাতার অনেক বাঙালি পাকিস্তানে থিতু হলো। সারাজীবন যারা কলকাতার সিনেমা, উপন্যাস পড়ে এসেছেন। বা যাদের মন ও মননে সর্বদা কলকাতার ডোমিনেন্ট সংস্কৃতি বিরাজমান তাদের কাছে উর্দু ভাষার মানুষের সাথে একাত্মা পোষণ করতে আপত্তি ছিল। এবং সে সময়কার শিক্ষিত শ্রেণি তাদের পাস্ট বা চাইল্ডহুড মেমোরিকে এম্ব্রেস করতে চাইতো। অর্থাৎ তাদের সারজীবনের বোঝাপড়া, সাংস্কৃতিক চাহিদা উর্দু ভাষার সঙ্গে একাত্ম হয়ে তারা ছেড়ে দিতে চায়নি। ( সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রথম আলোতে রিসেন্ট একটা কলাম পড়লে বুঝবেন ) প্রশ্ন থেকে যায় কেন হিন্দু ধর্মের মানুষ বা কলকাতার শিক্ষিত হিন্দুরা মনে করলো তাদের হিন্দু পরিচয় এনাফ হচ্ছেনা? অথচ পাকিস্তানের মুসলমানরা মনে করছে তাদের ইসলাম পরিচয় এনাফ? এখানেই আসে দ্বিতীয় এলিমেন্ট।
২। হিন্দু ধর্মের শ্রেণি প্রথা অনেক পুরনো এবং এই কারণে তাদের মধ্যে ডিক্লাসিফাইড বা শ্রেণি ব্যবস্থা দূর করার বাসনাও অনেক পুরনো। যার কারণে “হিন্দু” পরিচয়ে তারা সবার সঙ্গে ঐ অজুহাত বা কমন স্ফেয়ার তৈরিতে ব্যর্থ। একজন নিম্নবর্গের হিন্দু এবং ব্রাহ্মণ হিন্দুর ধর্ম পরিচয় এক হলেও তাদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠছেনা। যখন এরকম সম্প্রীতির রাস্তা বন্ধ তখন স্বাভাবিক ভাবেই মনে হচ্ছে ধর্মীয় পরিচয় বোধহয় এনাফ না। সবাইকে ইঙ্কলুসিভ করতে হলে তার আরো বড় স্ফেয়ারে যাইতে হবে যেখানে সকল হিন্দুর স্থান হবে। আর যেহেতু এই পরিবেশে পুর্ববাংলার বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষ তখন তাদের শৈশব কাটিয়েছে এবং দেখেছে তাদের হিন্দু নিম্ন বর্গের বন্ধু তার ধর্ম পরিচয়ের মাধ্যমে সমাজে সমান জায়গা পাচ্ছেনা তখন অবচেতন মনে তার মনে হয়েছে ধর্ম পরিচয় বোধহয় এনাফ না। তার আরো বড় পরিচয় দরকার যেখানে সে অন্যের সঙ্গে কানেক্ট হতে পারবে। আর এইটা বিশাল বড় একটা এলিমেন্ট বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভবের।
মোটাদাগে ফাহামের আলোচনায় এই দুটো কারণ বা এলিমেন্ট উঠে এসেছে। আমি এর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়া দিয়ে কিছুটা এলাবরেট করেছি মাত্র। এখন উদ্ভব জানার পরে আমাদের দেখতে হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বর্তমান অবস্থা কি। ফাহাম বলছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ খুব বাজেভাবে ফেইল করেছে। এবং কেন ফেইল করেছে বা ফেইল করাটাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের একমাত্র গন্তব্য ছিল সেটা দেখা যাক।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ কেন ফেইল করলো?
১। বাঙালি পরিচয়ের উদ্ভবের কারণ ছিল সমাজকে ইঙ্কলুসিভ করা। সমাজের সকল মানুষকে ধর্ম পরিচয় ছেড়ে এসে বাঙালি পরিচয় ধারণ করা যেন বৈষম্য দূর হয় এবং মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের কানেক্ট করতে সুবিধা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারক যারা তারা নিজেরাই আরেক্টা শ্রেণি তৈরি করে ফেলেছে। বাঙালি এবং অবাঙালি। এবং শুধু তাই না, এই শ্রেণীকরণের মাধ্যম দিয়ে তারা ৭১ পরবর্তী সময় থেকে এই ২৪ সাল অবধি সাধারণ একজন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার অবধি কেড়ে নিয়েছে। শুধুমাত্র বাঙালি পরিচয়কে ধারণ না করে কেউ যদি নিজেকে মুসলমান দাবি করেছে তবে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এবং সকল পরিচয়ের কিছু সিম্বল থাকে। বাঙালি পরিচয়েরও আছে। খুব সচেতনভাবে সমাজের সিংহভাগ মানুষের সিম্বল অর্থাৎ দাঁড়ি টুপিকে এক প্রকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাঙালি পরিচয়ের মধ্যে। এইযে সমাজে শ্রেণীকরণ এবং ডিহিউম্যানাইজ করার প্রক্রিয়া সেটা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছে বাঙালি পরিচয়ের ধারক বাহক আওয়ামীলীগ। এখানে শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের জায়গা হয়নি এমন না, তারা সুবিধামাফিক এই বাঙালি পরিচয়কে ডিফাইন করেছে। কখনো স্বাধীনতার স্বপক্ষ-বিপক্ষ নাম দিয়ে, কখনো ধর্মীয় গোঁড়ামির জুজু দেখিয়ে।
২। আপনি যখন কারো একটা কথা শোনেন সেই কথার বস্তুগত গুরুত্ব যদি হয় ৫০% তাহলে বাকি ৫০% গুরত্ব যে আপনাকে কথা বলছে তার। অর্থাৎ ধরেন আমি নিজে সিগারেট খাই কিন্তু আপনাকে বারবার নিষেধ করি সিগারেট খেতে তাহলে ব্যাপারটা মোটেও ভালো কিছুনা। আমার মেসেজ আপনার কাছে গিয়ে গুরত্ব হারাচ্ছে কারণ ঐ ইলমের আমল আমি নিজেই করিনা। তেমনি যারা বছরের পর বছর ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মেসেজ আমাদের দিয়ে যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ নিজেরাই বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে এসেন্স সেটা ধারণ করেন না। সেটা সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর মাধ্যমে হোক বা পরিবারকে বিদেশে সেটেল করানো হোক। কিংবা আগে যেমন বলেছি শ্রেণি তৈরি করার মাধ্যমে। তেমনি শেখ মুজিবের মতো একজন যে দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে, মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছিল সে যখন বাঙালি জাতীয়তাবাদের পোস্টারবয় হয় তখন সেই জাতীয়তাবাদ যে গুরত্ব হারায় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ এই পরিচয় উদ্ভবের যে চাহিদা বা মূল কারণ ছিল সেটাকে অলরেডি শেখ মুজিব এবং আওয়ামীলীগ সহ এই জাতীয়তাবাদের ফ্রন্টলাইনার সবাই কাজের মাধ্যমে ডিনাই করেছে।
৩। মানুষের ব্রেইনে আপনি যখন কোনোকিছু সচেতনভাবে চাপিয়ে দেবেন তখন সে অবচেতনভাবেই সেটার বিরোধিতা করতে শুরু করে। ছোট বাচ্চাদের যখন আপনি সচেতনভাবে পড়ার জন্য বা খাওয়ার জন্য প্রেশার দিবেন তখন সে ডিনাই করতে শুরু করবে। গত ১৫ টা বছর ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সবক এই তরুণ জেনারেশনের মধ্যে বই-পুস্তক, রাস্তাঘাট সবাজায়গায় যেভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তাতে অবচেতনভাবেই এই পরিচয়কে জেনারেশন ধরে ডিনাই করেছে। তবে আপাত দৃষ্টিতে হওয়া উচিত ছিলো যে এই জেনারেশনই মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে চলবে। এই চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধ মনোভাব মানুষের ফিতরাত দেখেই আল্লাহ আমাদের কী খেতে হবে বা কী করতে হবে এইগুলা বলে দেন নাই। বরং বেশিরভাগক্ষেত্রে বলে দিয়েছেন কী করতে আমি পারবো না। ওই নির্দিষ্ট কাজ বাদে আমি বাকি সব করতে পারবো। অর্থাৎ ডিফল্ট সেটিং আমার যা খুশি করার এক্সেপ্ট আল্লাহর নির্ধারিত কিছু জিনিস। যদি এমন না হতো হয়তো দেখা যেত মানুষ ইসলামকে ডিনাই করছে এবং আজকের এই সময় অবধি ইসলাম এক্সিস্ট করতো না। তাহলে চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতিও বাঙালি জাতীয়তাবাদের ফেইল করার একটা বড় কারণ।
৪। বাঙালি পরিচয় আপনাকে আমাকে ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়তে সাহায্য করেনা। যেটা করে সেটা হচ্ছে ফেক একটা এক্ট করানো। ধর্মীয় সম্প্রীতি ট্রেনিং দিয়ে জোড় করে করানোর জিনিস না। স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ মানুষ সমাজে কয়েকশ বছর ধরে এবং এখনো গ্রাম গঞ্জে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে চলছে। কাউকে শেখানো লাগেনা যে একজন হিন্দুর সঙ্গে তোমার ব্যবহার আলাদা হবেনা। এটা ন্যাচারাল একটা জিনিস এবং এক্ট। সমস্যা শুরু হয় যখন আপনি একজন হিন্দুকে ঈদে মুসলমানের সঙ্গে আনন্দ করতে পিয়ার প্রেশার ক্রিয়েট করেন। একজন মুসলমানকে পূজার অনুষ্টানে গিয়ে নাচতে বলেন। এখানে সে ন্যাচারাল এক্ট করতে পারেনা, কারণ এইটা তার এসেন্সে নাই। সে তখন ফেইক করা শুরু করে। আর যারা এই ফেইক এক্ট-এর বিপরীতে যায় তাদের মনে করা হয় সম্প্রীতি নাই। কিন্তু সম্প্রীতি কোনো এক্ট না, এইটা ন্যাচারাল সামাজিক বোঝাপড়া।
৫। বাঙালি পরিচয় আপনাকে কিছু কোড দিয়ে দেয় এক্ট করার। এই কোড বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ফিতরাত বা স্বভাবের সঙ্গে যায়না। আর যখন আপনি আপনার স্বভাবের বাইরে গিয়ে কিছু করতে যান তখন সেটা আপনার ভেতর থেকে আসেনা। আপনি একটা ছবি আঁকতে গিয়ে বা আলপনা আঁকতে গিয়ে যদি সচেতন ভাবে আপনাকে “অসাম্প্রদায়িক” বানানোর চাপ দিতে থাকে আপনার কোড বা পরিচয় তবে আপনি কখনোই অরিজিনাল আর্ট ফর্ম বানাতে পারবেন না। আপনার কবিতাতে যদি সবসময় একটা সেট অফ রুলস থাকে যে আপনার কবিতাতে জান্নাত না বলে স্বর্গ বলতে হয় কারণ তানাহলে সেটা সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবে তাহলে আপনার কবিতা কখনো সত্যিকারে ভেতর থেকে আসা কবিতা হয়ে উঠবেনা। বাঙালি পরিচয় বা জাতীয়তাবাদ মানুষের এই দক্ষতার উপরেও প্রভাব বিস্তার করে তাকে মিডিয়োকার বানিয়ে ফেলে। এই পরিচয়কে ডিনাই করার কারণেই আল মাহমুদ পারেন লিখতে বখতিয়ারের ঘোড়া এবং অপামর জনগণ সেখানে নিজেকে কানেক্ট করতে পারে।
পর্যালোচনার এই পর্যায়ে এসে আমি খুব দুঃখিত। এরপরের অংশ নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করলে এই লেখা আরো বড় হয়ে যাবে। তাছাড়া ঐ অংশটা আমি ঠিকঠাক রিকল করতেও পারছিনা। ভাসাভাসা মনে থাকা থেকে লেখা উচিত হবেনা। তাই এখানেই আলোচনা সমাপ্ত। অনুষ্ঠান নিয়ে যদি বলি খুব ভালো এরেঞ্জমেন্ট ছিল। ধন্যবাদ আদর্শকে। অনেকে দেখলাম অটোগ্রাফ, সেলফি নিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে কারো সঙ্গে সেলফি নিতে গেলে বা অটোগ্রাফ নিতে গেলে আমার নিজেকে ছোট মনে হয়। জানিনা চিন্তাটা প্রব্লেমেটিক কিনা কিন্তু আমি কখনো নিজেকে কারো ফ্যানবয় হিসেবে ট্রিট করতে চাইনা।
ফাহামকে প্রশ্ন করেছিলাম, “পরাধীনতার কনসেপ্টকে ইগ্নোর করলে তার কাছে স্বাধীনতার সংজ্ঞা কী? বা পরাধীনতা দিয়ে স্বাধীনতাকে না বুঝলে আপনি স্বাধীনতাকে কিভাবে বোঝেন?” উনি বলেছেন খুবই ভালো প্রশ্ন এবং উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তার উত্তরের সঙ্গে আমি পুরো একমত নই। আবার যে এনালজি উনি দিয়েছেন সেটাও গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। খুব অল্প সময় ছিল এবং অল্প কথায় উত্তর দেয়ার চেষ্টাতে এমন হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি কেন তার উত্তরের সঙ্গে একমত নই এটা নিয়ে লিখতে গেলে ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারছিনা। অর্থাৎ আমার নিজের আন্ডারস্ট্যান্ডিং এখনো ভালোনা। সেটা ভালো হলে আলোচনা করা যাবে।
এতবড় লেখা একজনও পড়েছে কিনা আমি যথেষ্ট সন্দেহে আছি। তবুও লেখার কারণ রিকল করা। আমি বিস্তারিত পড়ালেখার প্রসেসে আছি। জানাশোনা, ক্রিটিক পড়া এসবকিছু হলে এরপরে আরো বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবো। ধন্যবাদ।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Shahadat Jamil Shaon
Categories
Recent Posts
About
This is my personal blog, where I write about various topics related to software development, technology, and my own experiences. I enjoy exploring new technologies, frameworks, and programming languages, and sharing what I learn with others.